Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ নভেম্বর ২০২২

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট কৃষিবিদ ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম- 

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সফল বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট উদ্ভিদ প্রজননবিদ ও কৃষিবিদ ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ২০-০৩-২০২০ খ্রি. তারিখ হতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক পদে নিযুক্ত করেছেন। তিনি বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১ম শ্রেণিতে এসএসসি, নটরডেম কলেজ হতে ১ম শ্রেণিতে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে কৃষিতে স্নাতক, জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।  তিনি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (JSP) ও IRRI এর বৃত্তি নিয়ে University of the Philippines Los Banos, ফিলিপাইন হতে মলিকুলার জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন এবং বিশ্ব ব্যাংকের, BARC এর  NATP প্রকল্পের বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাস্ট্রের Cornell University হতে মলিকুলার জেনেটিক্স বিষয়ে পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।

 

ড. মির্জা এ পর্যন্ত ধানের উল্লেখযোগ্য জাতসমূহ - লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিনাধান-৮ ও বিনাধান-১০, জলমগ্নতা সহিষ্ণু বিনাধান-১১ ও বিনাধান-১২, সার ও পানি সাশ্রয়ী উচ্চ ফলনশীল জাত বিনাধান-১৭ (গ্রীন সুপার রাইস), দ্বৈত (বন্যা ও লবণ) সহিষ্ণু বিনাধান-২৩ সহ অন্যান্য ফসলের মোট ২২টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। তিনি তাঁর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের FAO-IAEA অস্ট্রিয়া হতে Outstanding Achievement  Award,  বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক সুপ্রিম সিড স্বর্ণপদক, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (IRRI) কর্তৃক Bill and Melinda Gates Foundation এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে লবণ ও বন্যা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনে অনন্য অবদান রাখায় ভারতের নয়াদিল্লীতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্টসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হন।

 

তিনি প্রতিষ্ঠানের বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে প্রায় ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে বায়োটেকনোলজি গবেষণাগারকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন এবং বিগত প্রায় ৫ বছর যাবৎ বিনা’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  তিনি বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, সভা ও প্রকল্পের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্কসহ ১৫টি দেশ সফর করেন। তিনি জাতিসংঘের IAEA এর অধীনে শ্রীলংকা, মায়ানমার ও সিয়েরা লিওনে পরমাণু কৃষি গবেষণায় কনসালট্যান্ট/বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন।

 

এছাড়া তিনি বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস ও পিএইচডি কোর্সে ছাত্র/ছাত্রীদের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশে ও বিদেশে স্বীকৃত জার্নালে ১৪১টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের মলিকুলার ও ফিজওলজিক্যাল মেকানিজম বিষয়ে Taylor and Francis এ একটি পুস্তকের অধ্যায় প্রকাশ করেছেন। তিনি বহু আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রকল্প পরিচালনা করছেন। তাঁর সহধর্মিনী ড. শামছুন্নাহার বেগম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তিনি ১৯৬৫ সালের ২০ মে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন আগচারান গ্রামে ঐতিহ্যবাহী এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।